সেই প�রনো ব�যাটিং ব�যর�থতার নজির রাখলো বাংলাদেশ

মাউন�ট মঙ�গান�ইয়ে ইতিহাস গড়লেও ক�রাইস�টচার�চে �সে সেই প�রনো ব�যাটিং ব�যর�থতার নজির রাখলো বাংলাদেশ। দ�বিতীয় টেস�টে নিউজিল�যান�ড পেসারদের তোপে প�রথম ইনিংসেই তারা গ�টিয়ে গেছে মাত�র ১২৬ রানে। সফরকারীরা পিছিয়ে আছে ৩৯৫ রানে! যেহেত� রস টেলরের বিদায়ী টেস�ট �বং প�রথম ইনিংসে স�মরণীয় কিছ� করে দেখাতে পারেননি। �খন তৃতীয় দিন দেখার বিষয় কিউইরা বাংলাদেশকে ফলোঅন করায় কিনা।

যে উইকেটে নিউজিল�যান�ডের ব�যাটাররা সাবলীল ব�যাটিংয়ে বিশাল সংগ�রহের ভিত গড়েছে, দ�বিতীয় দিন সেই �কই উইকেটে বাংলাদেশের ব�যাটিং ইনিংসে দেখা মিললো ভিন�ন চিত�র। শ�র�তেই �লোমেলো হয়ে যায় সফরকারীরা। মাত�র ১১ রান ত�লতেই হারায় টপ অর�ডারের ৪ উইকেট! কিছ�ই করতে পারেননি সাদমান ইসলাম, নাঈম শেখ, নাজম�ল হোসেন শান�ত ও ম�মিন�ল।

নাঈম তো অভিষেক টেস�টের প�রথম ইনিংস মোটেও স�মরণীয় করতে পারলেন না। সাজঘরে ফিরেছেন রানের খাতা খোলার আগেই। ব�যর�থতার মিছিলে ছিলেন লিটন দাসও। বিগত ইনিংসগ�লোয় ধারাবাহিক �ই ব�যাটার ১৮ বল খেলে করতে পেরেছেন ৮ রান। তাকে ব�লান�ডেলের গ�লাভসবন�দি করিয়েছেন বোল�ট।

তাতে মাত�র ২৭ রানে পড়েছে টপের ৫ উইকেট। ইয়াসির আলী ও ন�র�ল হাসান মিলে প�রাথমিক ধাক�কা সামাল না দিলে হয়তো আরও বাজে কিছ� হতো। দেখতে দেখতে দলীয় স�কোর শত রানের কাছে পৌ�ছায় �ই দ�ই ব�যাটারের কল�যাণে। কিন�ত� দলীয় ৮৭ রানে টিম সাউদির দ�রন�ত গতির কাছে পরাস�ত হতেই হয় ন�র�ল হাসানকে। লেগ বিফোরে আম�পায়ার আঙ�ল ত�লে দেন সরাসরি। ন�র�ল হাসান রিভিউ নিলেও রক�ষা হয়নি। আম�পায়ার�স কলে বিদায় নিতে হয়েছে। ফেরার আগে ৬২ বলে ৪১ রানের গ�র�ত�বপূর�ণ ইনিংস উপহার দেন ন�র�ল হাসান। �ই জ�টিতে যোগ হয় গ�র�ত�বপূর�ণ ৬০ রান।

তার পর মিরাজ ছিলেন শেষ প�রতিষ�ঠিত ব�যাটসম�যান। কিন�ত� অফস�পিনিং অলরাউন�ডার টিকে থাকার ধৈর�য দেখাতে পারলেন না। ৩৩ বল খেলা �ই ব�যাটারকে বোল�ড করেছেন ট�রেন�ট বোল�ট। আর �ই উইকেট ত�লে নিয়েই টেস�ট ক�যারিয়ারের ৩০০ উইকেটের মাইলফলক ছ��য়ে ফেলেন কিউই পেসার। মিরাজের বিদায়ে তখন লেজ বের হয়ে যায় সফরকারীদের। লেজের দিকে শ�র�র পতনই হয় তাসকিনের বিদায়ে। জেমিসনের বলে ক�যাচ ত�লে দিয়েছেন।

�কপ�রান�ত আগলে ইয়াসীর শ�ধ� নিজের ব�যাটিং দক�ষতার প�রদর�শনী করতে পেরেছেন। ত�লে নিতে পেরেছন ক�যারিয়ারের প�রথম টেস�ট ফিফটিও। তবে ৫৫ রান করার পর আগ�রাসী হতে গিয়ে ক�যাচ দিয়ে ফিরেছেন জেমিসনের বলে। ৯৫ বল খেলা ইয়াসিরের ইনিংসে ছিল ৭টি চার। তার বিদায়ের পর শরিফ�লও বোল�ড হলে ৪১.২ ওভারে ১২৬ রানেই শেষ হয় বাংলাদেশের প�রথম ইনিংস।

নিউজিল�যান�ডের হয়ে সেরা বোলিং ছিল ট�রেন�ট বোল�টের। ৪৩ রানে ৫ উইকেট নিয়েছেন। ২৮ রানে ৩টি নিয়েছেন টিম সাউদি। ৩২ রানে দ�টি নিয়েছেন কাইল জেমিসন।

�র আগে নিজেদের প�রথম ইনিংসে রাজত�ব করেছে নিউজিল�যান�ড। ৬ উইকেটে ৫২১ রানে ইনিংস ঘোষণার পথে দ�র�দান�ত ব�যাটিংয়ে ল�যাথাম খেলেছেন ২৫২ রানের �লমলে ইনিংস। ডাবল সেঞ�চ�রির পথ প�রথম দিনই করে রেখেছিলেন। স�যোগটা নষ�ট করেননি বা�হাতি ওপেনার। দ�বিতীয় দিনের সকালেই টেস�ট ক�যারিয়ারের দ�বিতীয় ডাবল সেঞ�চ�রি পূরণ করেছেন তিনি। ম�মিন�লের বলে আউট হওয়ার আগে ৩৭৩ বলের ইনিংসটি কিউই অধিনায়ক সাজান ৩৪ বাউন�ডারি ও ২ ছক�কায়।

ল�যাথামের সঙ�গে ৯৯ রান নিয়ে দ�বিতীয় দিন শ�র� করেছিলেন ডেভন কনওয়ে। প�রথম বলেই বাউন�ডারি হা�কিয়ে টেস�ট ক�যারিয়ারের তৃতীয় সেঞ�চ�রি ত�লে নেন �ই ব�যাটার। যদিও শতক পূরণের পর বেশিক�ষণ টিকতে পারেননি। রান আউট হয়ে দিনের শ�র�তেই তিনি ফিরলে উইকেট উদযাপনের উপলক�ষ দ�র�তই পায় বাংলাদেশ। তার বিদায়ে ভাঙে ল�যাথামের সঙ�গে ২১৫ রানের জ�টি। আন�তর�জাতিক ক�রিকেটে দ�র�দান�ত সময় পার করা �ই ব�যাটার করেছেন ১০৯ রান। ১৬৬ বলের ইনিংসটি কনওয়ে সাজান ১২ বাউন�ডারি ও ১ ছক�কায়।

আগের দিন যেখানে গোটা দিনে ১ উইকেট পেয়েছিল বাংলাদেশ, সেখানে দ�বিতীয় দিনে প�রথম সেশনেই বাংলাদেশের প�রাপ�তি ছিল ৪ উইকেট। শরিফ�ল ইসলামের বলে ড�যারিল মিচেল আউট হওয়ার পরপরই লাঞ�চের বিরতি দেন দ�ই আম�পায়ার। ন�র�ল হাসান সোহানের গ�লাভবন�দি হওয়ার আগে কিউই ব�যাটার করতে পেরেছেন মাত�র ৩ রান। ল�যাথাম ফিরে যাওয়ার পর টম ব�লান�ডেল অপরাজিত ছিলেন ৫৭ রানে। ইনিংস ঘোষণার সময় তার সঙ�গে ক�রিজে ছিলেন ৪* রান করা কাইল জেমিসন।

বাংলাদেশের দ�ই পেসার শরিফ�ল ও �বাদত দ�জনই পেয়েছেন ২টি করে উইকেট। আর ১ উইকেট শিকার মিরাজের।